[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ০১ ।

بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু


[1] المر ۚ تِلكَ ءايٰتُ الكِتٰبِ ۗ وَالَّذى أُنزِلَ إِلَيكَ مِن رَبِّكَ الحَقُّ وَلٰكِنَّ أَكثَرَ النّاسِ لا يُؤمِنونَ
[1] আলিফ-লাম-মীম-রা; এগুলো কিতাবের আয়াত। যা কিছু আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে, তা সত্য। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এতে বিশ্বাস করে না।
[1] Alif-Lâm-Mîm-Râ. [These letters are one of the miracles of the Qur’ân and none but Allâh (Alone) knows their meanings]. These are the Verses of the Book (the Qur’ân), and that which has been revealed unto you (Muhammad SAW) from your Lord is the truth, but most men believe not

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ০২ ।

[2] اللَّهُ الَّذى رَفَعَ السَّمٰوٰتِ بِغَيرِ عَمَدٍ تَرَونَها ۖ ثُمَّ استَوىٰ عَلَى العَرشِ ۖ وَسَخَّرَ الشَّمسَ وَالقَمَرَ ۖ كُلٌّ يَجرى لِأَجَلٍ مُسَمًّى ۚ يُدَبِّرُ الأَمرَ يُفَصِّلُ الءايٰتِ لَعَلَّكُم بِلِقاءِ رَبِّكُم توقِنونَ
[2] আল্লাহ, যিনি উর্ধ্বদেশে স্থাপন করেছেন আকাশমন্ডলীকে স্তম্ভ ব্যতীত। তোমরা সেগুলো দেখ। অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এবং সূর্য ও চন্দ্রকে কর্মে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকে নির্দিষ্ট সময় মোতাবেক আবর্তন করে। তিনি সকল বিষয় পরিচালনা করেন, নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা স্বীয় পালনকর্তার সাথে সাক্ষাত সম্বন্ধে নিশ্চিত বিশ্বাসী হও।
[2] Allâh is He Who raised the heavens without any pillars that you can see. Then, He rose above (Istawâ) the Throne (really in a manner that suits His Majesty). He has subjected the sun and the moon (to continue going round)! each running (its course) for a term appointed. He manages and regulates all affairs, He explains the Ayât (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.) in detail, that you may believe with certainty in the meeting with your Lord.

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ০৩ ।

[3] وَهُوَ الَّذى مَدَّ الأَرضَ وَجَعَلَ فيها رَوٰسِىَ وَأَنهٰرًا ۖ وَمِن كُلِّ الثَّمَرٰتِ جَعَلَ فيها زَوجَينِ اثنَينِ ۖ يُغشِى الَّيلَ النَّهارَ ۚ إِنَّ فى ذٰلِكَ لَءايٰتٍ لِقَومٍ يَتَفَكَّرونَ
[3] তিনিই ভুমন্ডলকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পাহাড় পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফলের মধ্যে দু’দু প্রকার সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্যে নিদর্শণ রয়েছে, যারা চিন্তা করে।
[3] And it is He Who spread out the earth, and placed therein firm mountains and rivers and of every kind of fruits He made Zawjain Ithnaîn (two in pairs – may mean two kinds or it may mean: of two varities, e.g. black and white, sweet and sour, small and big) He brings the night as a cover over the day. Verily, in these things, there are Ayât (proofs, evidences, lessons, signs, etc.) for people who reflect.

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ০৪ ।

[4] وَفِى الأَرضِ قِطَعٌ مُتَجٰوِرٰتٌ وَجَنّٰتٌ مِن أَعنٰبٍ وَزَرعٌ وَنَخيلٌ صِنوانٌ وَغَيرُ صِنوانٍ يُسقىٰ بِماءٍ وٰحِدٍ وَنُفَضِّلُ بَعضَها عَلىٰ بَعضٍ فِى الأُكُلِ ۚ إِنَّ فى ذٰلِكَ لَءايٰتٍ لِقَومٍ يَعقِلونَ
[4] এবং যমিনে বিভিন্ন শস্য ক্ষেত্র রয়েছে-একটি অপরটির সাথে সংলগ্ন এবং আঙ্গুরের বাগান আছে আর শস্য ও খজ্জêুর রয়েছে-একটির মূল অপরটির সাথে মিলিত এবং কতক মিলিত নয়। এগুলো কে একই পানি দ্বারা সেচ করা হয়। আর আমি স্বাদে একটিকে অপরটির চাইতে উৎকৃষ্টতর করে দেই। এগুলোর মধ্যে নিদর্শণ রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তা ভাবনা করে।
[4] And in the earth are neighbouring tracts, and gardens of vines, and green crops (fields), and date-palms, growing into two or three from a single stem root, or otherwise (one stem root for every palm ), watered with the same water, yet some of them We make more excellent than others to eat. Verily, in these things, there are Ayât (proofs, evidences, lessons, signs) for the people who understand

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ০৫ ।

[5] ۞ وَإِن تَعجَب فَعَجَبٌ قَولُهُم أَءِذا كُنّا تُرٰبًا أَءِنّا لَفى خَلقٍ جَديدٍ ۗ أُولٰئِكَ الَّذينَ كَفَروا بِرَبِّهِم ۖ وَأُولٰئِكَ الأَغلٰلُ فى أَعناقِهِم ۖ وَأُولٰئِكَ أَصحٰبُ النّارِ ۖ هُم فيها خٰلِدونَ
[5] যদি আপনি বিস্ময়ের বিষয় চান, তবে তাদের একথা বিস্ময়কর যে, আমরা যখন মাটি হয়ে যাব, তখনও কি নতুন ভাবে সৃজিত হব? এরাই স্বীয় পালনকর্তার সত্তায় অবিশ্বাসী হয়ে গেছে, এদের গর্দানেই লৌহ-শৃংখল পড়বে এবং এরাই দোযখী এরা তাতে চিরকাল থাকবে।
[5] And if you (O Muhammad SAW) wonder (at these polytheists who deny your message of Islâmic Monotheism and have taken besides Allâh others for worship who can neither harm nor benefit), then wondrous is their saying: “When we are dust, shall we indeed then be (raised) in a new creation?” They are those who disbelieved in their Lord! They are those who will have iron chains tying their hands to their necks. They will be dwellers of the Fire to abide therein.

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ০৬ ।

[6] وَيَستَعجِلونَكَ بِالسَّيِّئَةِ قَبلَ الحَسَنَةِ وَقَد خَلَت مِن قَبلِهِمُ المَثُلٰتُ ۗ وَإِنَّ رَبَّكَ لَذو مَغفِرَةٍ لِلنّاسِ عَلىٰ ظُلمِهِم ۖ وَإِنَّ رَبَّكَ لَشَديدُ العِقابِ
[6] এরা আপনার কাছে মঙ্গলের পরিবর্তে দ্রুত অমঙ্গল কামনা করে। তাদের পূর্বে অনুরূপ অনেক শাস্তিপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী অতিক্রান্ত হয়েছে। আপনার পালনকর্তা মানুষকে তাদের অন্যায় সত্বেও ক্ষমা করেন এবং আপনার পালনকর্তা কঠিন শাস্তিদাতা ও বটে।
[6] They ask you to hasten the evil before the good, while (many) exemplary punishments have indeed occurred before them. But verily, your Lord is full of Forgiveness for mankind inspite of their wrong-doing. And verily, your Lord is (also) Severe in punishment.

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ০৭ ।

[7] وَيَقولُ الَّذينَ كَفَروا لَولا أُنزِلَ عَلَيهِ ءايَةٌ مِن رَبِّهِ ۗ إِنَّما أَنتَ مُنذِرٌ ۖ وَلِكُلِّ قَومٍ هادٍ
[7] কাফেররা বলেঃ তাঁর প্রতি তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হল না কেন? আপনার কাজ তো ভয় প্রদর্শন করাই এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্যে পথপ্রদর্শক হয়েছে।
[7] And the disbelievers say: “Why is not a sign sent down to him from his Lord?” You are only a warner, and to every people there is a guide.

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ০৮ ।

[8] اللَّهُ يَعلَمُ ما تَحمِلُ كُلُّ أُنثىٰ وَما تَغيضُ الأَرحامُ وَما تَزدادُ ۖ وَكُلُّ شَيءٍ عِندَهُ بِمِقدارٍ
[8] আল্লাহ জানেন প্রত্যেক নারী যা গর্ভধারণ করে এবং গর্ভাশয়ে যা সঙ্কুচিত ও বর্ধিত হয়। এবং তাঁর কাছে প্রত্যেক বস্তুরই একটা পরিমাণ রয়েছে।
[8] Allâh knows what every female bears, and by how much the wombs fall short (of their time or number) or exceed. Everything with Him is in (due) proportion.

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ০৯ ।

[9] عٰلِمُ الغَيبِ وَالشَّهٰدَةِ الكَبيرُ المُتَعالِ
[9] তিনি সকল গোপন ও প্রকাশ্য বিষয় অবগত, মহোত্তম, সর্বোচ্চ মর্যাদাবান।
[9] All-Knower of the unseen and the seen, the Most Great, the Most High.

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ১০ ।

[10] سَواءٌ مِنكُم مَن أَسَرَّ القَولَ وَمَن جَهَرَ بِهِ وَمَن هُوَ مُستَخفٍ بِالَّيلِ وَسارِبٌ بِالنَّهارِ
[10] তোমাদের মধ্যে কেউ গোপনে কথা বলুক বা তা সশব্দে প্রকাশ করুক, রাতের অন্ধকারে সে আত্নগোপন করুক বা প্রকাশ্য দিবালোকে বিচরণ করুক, সবাই তাঁর নিকট সমান।
[10] It is the same (to Him) whether any of you conceal his speech or declare it openly, whether he be hid by night or goes forth freely by day.

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ১১ ।

[11] لَهُ مُعَقِّبٰتٌ مِن بَينِ يَدَيهِ وَمِن خَلفِهِ يَحفَظونَهُ مِن أَمرِ اللَّهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ لا يُغَيِّرُ ما بِقَومٍ حَتّىٰ يُغَيِّروا ما بِأَنفُسِهِم ۗ وَإِذا أَرادَ اللَّهُ بِقَومٍ سوءًا فَلا مَرَدَّ لَهُ ۚ وَما لَهُم مِن دونِهِ مِن والٍ
[11] তাঁর পক্ষ থেকে অনুসরণকারী রয়েছে তাদের অগ্রে এবং পশ্চাতে, আল্লাহর নির্দেশে তারা ওদের হেফাযত করে। আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
[11] For him (each person), there are angels in succession, before and behind him. They guard him by the Command of Allâh. Verily! Allâh will not change the (good) condition of a people as long as they do not change their state (of goodness) themselves (by committing sins and by being ungrateful and disobedient to Allâh). But when Allâh wills a people’s punishment, there can be no turning back of it, and they will find besides Him no protector.

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ১২ ।

[12] هُوَ الَّذى يُريكُمُ البَرقَ خَوفًا وَطَمَعًا وَيُنشِئُ السَّحابَ الثِّقالَ
[12] তিনিই তোমাদেরকে বিদ্যুৎ দেখান ভয়ের জন্যে এবং আশার জন্যে এবং উক্ষিত করেন ঘন মেঘমালা।
[12] It is He who shows you the lightning, as a fear (for travellers) and as a hope (for those who wait for rain). And it is He Who brings up (or originates) the clouds, heavy (with water).

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ১৩ ।

[13] وَيُسَبِّحُ الرَّعدُ بِحَمدِهِ وَالمَلٰئِكَةُ مِن خيفَتِهِ وَيُرسِلُ الصَّوٰعِقَ فَيُصيبُ بِها مَن يَشاءُ وَهُم يُجٰدِلونَ فِى اللَّهِ وَهُوَ شَديدُ المِحالِ
[13] তাঁর প্রশংসা পাঠ করে বজ্র এবং সব ফেরেশতা, সভয়ে। তিনি বজ্রপাত করেন, অতঃপর যাকে ইচছা, তাকে তা দ্বারা আঘাত করেন; তথাপি তারা আল্লাহ সম্পর্কে বিতন্ডা করে, অথচ তিনি মহাশক্তিশালী।
[13] And Ar-Ra’d (thunder) glorifies and praises Him, and so do the angels because of His Awe, He sends the thunderbolts, and therewith He strikes whom He wills, yet they (disbelievers) dispute about Allâh. And He is Mighty in strength and Severe in punishment.

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ১৪ ।

[14] لَهُ دَعوَةُ الحَقِّ ۖ وَالَّذينَ يَدعونَ مِن دونِهِ لا يَستَجيبونَ لَهُم بِشَيءٍ إِلّا كَبٰسِطِ كَفَّيهِ إِلَى الماءِ لِيَبلُغَ فاهُ وَما هُوَ بِبٰلِغِهِ ۚ وَما دُعاءُ الكٰفِرينَ إِلّا فى ضَلٰلٍ
[14] সত্যের আহবান একমাত্র তাঁরই এবং তাকে ছাড়া যাদেরকে ডাকে, তারা তাদের কোন কাজে আসে না; ওদের দৃষ্টান্ত সেরূপ, যেমন কেউ দু’ হাত পানির দিকে প্রসারিত করে যাতে পানি তার মুখে পৌঁছে যায়। অথচ পানি কোন সময় পৌঁছাবে না। কাফেরদের যত আহবান তার সবই পথভ্রষ্টতা।
[14] For Him (Allâh, Alone) is the Word of Truth (i.e. none has the right to be worshipped but Allah). And those whom they (polytheists and disbelievers) invoke, answer them no more than one who stretches forth his hand (at the edge of a deep well) for water to reach his mouth, but it reaches him not, and the invocation of the disbelievers is nothing but an error (i.e. of no use)

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ১৫ ।

[15] وَلِلَّهِ يَسجُدُ مَن فِى السَّمٰوٰتِ وَالأَرضِ طَوعًا وَكَرهًا وَظِلٰلُهُم بِالغُدُوِّ وَالءاصالِ ۩
[15] আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে আছে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এবং তাদের প্রতিচ্ছায়াও সকাল-সন্ধ্যায়।
[15] And unto Allâh (Alone) falls in prostration whoever is in the heavens and the earth, willingly or unwillingly, and so do their shadows in the mornings and in the afternoons

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ১৬ ।

[16] قُل مَن رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَالأَرضِ قُلِ اللَّهُ ۚ قُل أَفَاتَّخَذتُم مِن دونِهِ أَولِياءَ لا يَملِكونَ لِأَنفُسِهِم نَفعًا وَلا ضَرًّا ۚ قُل هَل يَستَوِى الأَعمىٰ وَالبَصيرُ أَم هَل تَستَوِى الظُّلُمٰتُ وَالنّورُ ۗ أَم جَعَلوا لِلَّهِ شُرَكاءَ خَلَقوا كَخَلقِهِ فَتَشٰبَهَ الخَلقُ عَلَيهِم ۚ قُلِ اللَّهُ خٰلِقُ كُلِّ شَيءٍ وَهُوَ الوٰحِدُ القَهّٰرُ
[16] জিজ্ঞেস করুন নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের পালনকর্তা কে? বলে দিনঃ আল্লাহ! বলুনঃ তবে কি তোমরা আল্লাহ ব্যতীত এমন অভিভাবক স্থির করেছ, যারা নিজেদের ভাল-মন্দের ও মালিক নয়? বলুনঃ অন্ধ চক্ষুষ্মান কি সমান হয়? অথবা কোথাও কি অন্ধকার ও আলো সমান হয়। তবে কি তারা আল্লাহর জন্য এমন অংশীদার স্থির করেছে যে, তারা কিছু সৃষ্টি করেছে, যেমন সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ? অতঃপর তাদের সৃষ্টি এরূপ বিভ্রান্তি ঘটিয়েছে? বলুনঃ আল্লাহই প্রত্যেক বস্তুর স্রষ্টা এবং তিনি একক, পরাক্রমশালী।
[16] Say (O Muhammad SAW): “Who is the Lord of the heavens and the earth?” Say: “(It is) Allâh.” Say: “Have you then taken (for worship) Auliyâ’ (protectors) other than Him, such as have no power either for benefit or for harm to themselves?” Say: “Is the blind equal to the one who sees? Or darkness equal to light? Or do they assign to Allâh partners who created the like of His creation, so that the creation (which they made and His creation) seemed alike to them.” Say: “Allâh is the Creator of all things, He is the One, the Irresistible.”

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ১৭ ।

[17] أَنزَلَ مِنَ السَّماءِ ماءً فَسالَت أَودِيَةٌ بِقَدَرِها فَاحتَمَلَ السَّيلُ زَبَدًا رابِيًا ۚ وَمِمّا يوقِدونَ عَلَيهِ فِى النّارِ ابتِغاءَ حِليَةٍ أَو مَتٰعٍ زَبَدٌ مِثلُهُ ۚ كَذٰلِكَ يَضرِبُ اللَّهُ الحَقَّ وَالبٰطِلَ ۚ فَأَمَّا الزَّبَدُ فَيَذهَبُ جُفاءً ۖ وَأَمّا ما يَنفَعُ النّاسَ فَيَمكُثُ فِى الأَرضِ ۚ كَذٰلِكَ يَضرِبُ اللَّهُ الأَمثالَ
[17] তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর স্রোতধারা প্রবাহিত হতে থাকে নিজ নিজ পরিমাণ অনুযায়ী। অতঃপর স্রোতধারা স্ফীত ফেনারাশি উপরে নিয়ে আসে। এবং অলঙ্কার অথবা তৈজসপত্রের জন্যে যে বস্তুকে আগুনে উত্তপ্ত করে, তাতেও তেমনি ফেনারাশি থাকে। এমনি ভাবে আল্লাহ সত্য ও অসত্যের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন। অতএব, ফেনা তো শুকিয়ে খতম হয়ে যায় এবং যা মানুষের উপকারে আসে, তা জমিতে অবশিষ্ট থাকে। আল্লাহ এমনিভাবে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন।
[17] He sends down water (rain) from the sky, and the valleys flow according to their measure, but the flood bears away the foam that mounts up to the surface,— and (also) from that (ore) which they heat in the fire in order to make ornaments or utensils, rises a foam like unto it, thus does Allâh (by parables) show forth truth and falsehood. Then, as for the foam it passes away as scum upon the banks, while that which is for the good of mankind remains in the earth. Thus Allâh sets forth parables (for the truth and falsehood, i.e. Belief and disbelief).

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ১৮ ।

[18] لِلَّذينَ استَجابوا لِرَبِّهِمُ الحُسنىٰ ۚ وَالَّذينَ لَم يَستَجيبوا لَهُ لَو أَنَّ لَهُم ما فِى الأَرضِ جَميعًا وَمِثلَهُ مَعَهُ لَافتَدَوا بِهِ ۚ أُولٰئِكَ لَهُم سوءُ الحِسابِ وَمَأوىٰهُم جَهَنَّمُ ۖ وَبِئسَ المِهادُ
[18] যারা পালনকর্তার আদেশ পালন করে, তাদের জন্য উত্তম প্রতিদান রয়েছে এবং যারা আদেশ পালন করে না, যদি তাদের কাছে জগতের সবকিছু থাকে এবং তার সাথে তার সমপরিমাণ আরও থাকে, তবে সবই নিজেদের মুক্তিপণ স্বরূপ দিয়ে দেবে। তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর হিসাব। তাদের আবাস হবে জাহান্নাম। সেটা কতইনা নিকৃষ্ট অবস্থান।
[18] For those who answered their Lord’s Call [believed in the Oneness of Allâh and followed His Messenger Muhammad SAW i.e. Islâmic Monotheism] is Al-Husna (i.e. Paradise). But those who answered not His Call (disbelieved in the Oneness of Allâh and followed not His Messenger Muhammad SAW), if they had all that is in the earth together with its like, they would offer it in order to save themselves (from the torment, but it will be in vain). For them there will be the terrible reckoning. Their dwelling – place will be Hell; – and worst indeed is that place for rest.

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ১৯ ।

[19] ۞ أَفَمَن يَعلَمُ أَنَّما أُنزِلَ إِلَيكَ مِن رَبِّكَ الحَقُّ كَمَن هُوَ أَعمىٰ ۚ إِنَّما يَتَذَكَّرُ أُولُوا الأَلبٰبِ
[19] যে ব্যক্তি জানে যে, যা কিছু পালনকর্তার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অবর্তীর্ণ হয়েছে তা সত্য সে কি ঐ ব্যক্তির সমান, যে অন্ধ? তারাই বোঝে, যারা বোধশক্তি সম্পন্ন।
[19] Shall he then who knows that what has been revealed unto you (O Muhammad SAW) from your Lord is the truth be like him who is blind? But it is only the men of understanding that pay heed.

[১৩] সুরা রা’দ : আয়াত ২০ ।

[20] الَّذينَ يوفونَ بِعَهدِ اللَّهِ وَلا يَنقُضونَ الميثٰقَ
[20] এরা এমন লোক, যারা আল্লাহর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করে এবং অঙ্গীকার ভঙ্গ করে না।
[20] Those who fulfil the Covenant of Allâh and break not the Mîthâq (bond, treaty, covenant);