[41] يٰصىٰحِبَىِ السِّجنِ أَمّا أَحَدُكُما فَيَسقى رَبَّهُ خَمرًا ۖ وَأَمَّا الءاخَرُ فَيُصلَبُ فَتَأكُلُ الطَّيرُ مِن رَأسِهِ ۚ قُضِىَ الأَمرُ الَّذى فيهِ تَستَفتِيانِ
[41] হে কারাগারের সঙ্গীরা! তোমাদের একজন আপন প্রভুকে মদ্যপান করাবে এবং দ্বিতীয়জন, তাকে শুলে চড়ানো হবে। অতঃপর তার মস্তক থেকে পাখী আহার করবে। তোমরা যে, বিষয়ে জানার আগ্রহী তার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।
[41] “O two companions of the prison! As for one of you, he (as a servant) will pour out wine for his lord (king or master) to drink; and as for the other, he will be crucified and birds will eat from his head. Thus is the case judged concerning which you both did inquire.”
Category Archives: ১২. ইউসুফ (একজন নবী)
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৪২ ।
[42] وَقالَ لِلَّذى ظَنَّ أَنَّهُ ناجٍ مِنهُمَا اذكُرنى عِندَ رَبِّكَ فَأَنسىٰهُ الشَّيطٰنُ ذِكرَ رَبِّهِ فَلَبِثَ فِى السِّجنِ بِضعَ سِنينَ
[42] যে ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা ছিল যে, সে মুক্তি পাবে, তাকে ইউসুফ বলে দিলঃ আপন প্রভুর কাছে আমার আলোচনা করবে। অতঃপর শয়তান তাকে প্রভুর কাছে আলোচনার কথা ভুলিয়ে দিল। ফলে তাঁকে কয়েক বছর কারাগারে থাকতে হল।
[42] And he said to the one whom he knew to be saved: “Mention me to your lord (i.e. your king, so as to get me out of the prison).” But Shaitân (Satan) made him forget to mention it to his Lord [or Satan made [(Yûsuf (Joseph)] to forget the remembrance of his Lord (Allâh) as to ask for His Help, instead of others]. So [Yûsuf (Joseph)] stayed in prison a few (more) years
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৪৩ ।
[43] وَقالَ المَلِكُ إِنّى أَرىٰ سَبعَ بَقَرٰتٍ سِمانٍ يَأكُلُهُنَّ سَبعٌ عِجافٌ وَسَبعَ سُنبُلٰتٍ خُضرٍ وَأُخَرَ يابِسٰتٍ ۖ يٰأَيُّهَا المَلَأُ أَفتونى فى رُءيٰىَ إِن كُنتُم لِلرُّءيا تَعبُرونَ
[43] বাদশাহ বললঃ আমি স্বপ্নে দেখলাম, সাতটি মোটাতাজা গাভী-এদেরকে সাতটি শীর্ণ গাভী খেয়ে যাচ্ছে এবং সাতটি সবুজ শীষ ও অন্যগুলো শুষ্ক। হে পরিষদবর্গ! তোমরা আমাকে আমার স্বপ্নের ব্যাখ্যা বল, যদি তোমরা স্বপ্নের ব্যাখ্যায় পারদর্শী হয়ে থাক।
[43] And the king (of Egypt) said: “Verily, I saw (in a dream) seven fat cows, whom seven lean ones were devouring – and seven green ears of corn, and (seven) others dry. O notables! Explain to me my dream, if it be that you can interpret dreams.”
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৪৪ ।
[44] قالوا أَضغٰثُ أَحلٰمٍ ۖ وَما نَحنُ بِتَأويلِ الأَحلٰمِ بِعٰلِمينَ
[44] তারা বললঃ এটা কল্পনাপ্রসূত স্বপ্ন। এরূপ স্বপ্নের ব্যাখ্যা আমাদের জানা নেই।
[44] They said: “Mixed up false dreams and we are not skilled in the interpretation of dreams.”
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৪৫ ।
[45] وَقالَ الَّذى نَجا مِنهُما وَادَّكَرَ بَعدَ أُمَّةٍ أَنا۠ أُنَبِّئُكُم بِتَأويلِهِ فَأَرسِلونِ
[45] দু’জন কারারুদ্ধের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি মুক্তি পেয়েছিল এবং দীর্ঘকাল পর স্মরণ হলে, সে বলল, আমি তোমাদেরকে এর ব্যাখ্যা বলছি। তোমরা আমাকে প্রেরণ কর।
[45] Then the man who was released (one of the two who were in prison), now at length remembered and said: “I will tell you its interpretation, so send me forth.”
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৪৬ ।
[46] يوسُفُ أَيُّهَا الصِّدّيقُ أَفتِنا فى سَبعِ بَقَرٰتٍ سِمانٍ يَأكُلُهُنَّ سَبعٌ عِجافٌ وَسَبعِ سُنبُلٰتٍ خُضرٍ وَأُخَرَ يابِسٰتٍ لَعَلّى أَرجِعُ إِلَى النّاسِ لَعَلَّهُم يَعلَمونَ
[46] সে তথায় পৌঁছে বললঃ হে ইউসুফ! হে সত্যবাদী! সাতটি মোটাতাজা গাভী-তাদেরকে খাচ্ছে সাতটি শীর্ণ গাভী এবং সাতটি সবুজ শীর্ষ ও অন্যগুলো শুষ্ক; আপনি আমাদেরকে এ স্বপ্ন সম্পর্কে পথনির্দেশ প্রদান করুনঃ যাতে আমি তাদের কাছে ফিরে গিয়ে তাদের অবগত করাতে পারি।
[46] (He said): “O Yûsuf (Joseph), the man of truth! Explain to us (the dream) of seven fat cows whom seven lean ones were devouring, and of seven green ears of corn, and (seven) others dry, that I may return to the people, and that they may know.”
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৪৭ ।
[47] قالَ تَزرَعونَ سَبعَ سِنينَ دَأَبًا فَما حَصَدتُم فَذَروهُ فى سُنبُلِهِ إِلّا قَليلًا مِمّا تَأكُلونَ
[47] বললঃ তোমরা সাত বছর উত্তম রূপে চাষাবাদ করবে। অতঃপর যা কাটবে, তার মধ্যে যে সামান্য পরিমাণ তোমরা খাবে তা ছাড়া অবশিষ্ট শস্য শীষ সমেত রেখে দেবে।
[47] [(Yûsuf (Joseph)] said: “For seven consecutive years, you shall sow as usual and that (the harvest) which you reap you shall leave it in ears, (all) – except a little of it which you may eat.
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৪৮ ।
[48] ثُمَّ يَأتى مِن بَعدِ ذٰلِكَ سَبعٌ شِدادٌ يَأكُلنَ ما قَدَّمتُم لَهُنَّ إِلّا قَليلًا مِمّا تُحصِنونَ
[48] এবং এরপরে আসবে দূর্ভিক্ষের সাত বছর; তোমরা এ দিনের জন্যে যা রেখেছিলে, তা খেয়ে যাবে, কিন্তু অল্প পরিমাণ ব্যতীত, যা তোমরা তুলে রাখবে।
[48] “Then will come after that, seven hard (years), which will devour what you have laid by in advance for them, (all) except a little of that which you have guarded (stored)
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৪৯ ।
[49] ثُمَّ يَأتى مِن بَعدِ ذٰلِكَ عامٌ فيهِ يُغاثُ النّاسُ وَفيهِ يَعصِرونَ
[49] এর পরেই আসবে একবছর-এতে মানুষের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হবে এবং এতে তারা রস নিঙড়াবে।
[49] “Then thereafter will come a year in which people will have abundant rain and in which they will press (wine and oil).”
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৫০ ।
[50] وَقالَ المَلِكُ ائتونى بِهِ ۖ فَلَمّا جاءَهُ الرَّسولُ قالَ ارجِع إِلىٰ رَبِّكَ فَسـَٔلهُ ما بالُ النِّسوَةِ الّٰتى قَطَّعنَ أَيدِيَهُنَّ ۚ إِنَّ رَبّى بِكَيدِهِنَّ عَليمٌ
[50] বাদশাহ বললঃ ফিরে যাও তোমাদের প্রভুর কাছে এবং জিজ্ঞেস কর তাকে ঐ মহিলার স্বরূপ কি, যারা স্বীয় হস্ত কর্তন করেছিল! আমার পালনকর্তা তো তাদের ছলনা সবই জানেন।
[50] And the king said: “Bring him to me.” But when the messenger came to him, [Yûsuf (Joseph)] said: “Return to your lord and ask him, ‘What happened to the women who cut their hands? Surely, my Lord (Allâh) is Well-Aware of their plot.'”
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৫১ ।
[51] قالَ ما خَطبُكُنَّ إِذ رٰوَدتُنَّ يوسُفَ عَن نَفسِهِ ۚ قُلنَ حٰشَ لِلَّهِ ما عَلِمنا عَلَيهِ مِن سوءٍ ۚ قالَتِ امرَأَتُ العَزيزِ الـٰٔنَ حَصحَصَ الحَقُّ أَنا۠ رٰوَدتُهُ عَن نَفسِهِ وَإِنَّهُ لَمِنَ الصّٰدِقينَ
[51] বাদশাহ মহিলাদেরকে বললেনঃ তোমাদের হাল-হাকিকত কি, যখন তোমরা ইউসুফকে আত্মসংবরণ থেকে ফুসলিয়েছিলে? তারা বললঃ আল্লাহ মহান, আমরা তার সম্পর্কে মন্দ কিছু জানি না। আযীয-পত্মি বললঃ এখন সত্য কথা প্রকাশ হয়ে গেছে। আমিই তাকে আত্মসংবরণ থেকে ফুসলিয়েছিলাম এবং সে সত্যবাদী।
[51] (The King) said (to the women): “What was your affair when you did seek to seduce Yûsuf (Joseph)?” The women said: “Allâh forbid! No evil know we against him!” The wife of Al-‘Azîz said: “Now the truth is manifest (to all), it was I who sought to seduce him, and he is surely of the truthful.”
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৫২ ।
[52] ذٰلِكَ لِيَعلَمَ أَنّى لَم أَخُنهُ بِالغَيبِ وَأَنَّ اللَّهَ لا يَهدى كَيدَ الخائِنينَ
[52] ইউসুফ বললেনঃ এটা এজন্য, যাতে আযীয জেনে নেয় যে, আমি গোপনে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। আরও এই যে, আল্লাহ বিশ্বাসঘাতকদের প্রতারণাকে এগুতে দেন না।
[52] [Then Yûsuf (Joseph) said: “I asked for this enquiry] in order that he (Al-‘Azîz) may know that I betrayed him not in his (absence). And, verily! Allâh guides not the plot of the betrayers.
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৫৩ ।
[53] ۞ وَما أُبَرِّئُ نَفسى ۚ إِنَّ النَّفسَ لَأَمّارَةٌ بِالسّوءِ إِلّا ما رَحِمَ رَبّى ۚ إِنَّ رَبّى غَفورٌ رَحيمٌ
[53] আমি নিজেকে নির্দোষ বলি না। নিশ্চয় মানুষের মন মন্দ কর্মপ্রবণ কিন্তু সে নয়-আমার পালনকর্তা যার প্রতি অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয় আমার পালনকর্তা ক্ষমাশীল, দয়ালু।
[53] “And I free not myself (from the blame). Verily, the (human) self is inclined to evil, except when my Lord bestows His Mercy (upon whom He wills). Verily, my Lord is Oft-Forgiving, Most Merciful.”
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৫৪ ।
[54] وَقالَ المَلِكُ ائتونى بِهِ أَستَخلِصهُ لِنَفسى ۖ فَلَمّا كَلَّمَهُ قالَ إِنَّكَ اليَومَ لَدَينا مَكينٌ أَمينٌ
[54] বাদশাহ বললঃ তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো। আমি তাকে নিজের বিশ্বস্ত সহচর করে রাখব। অতঃপর যখন তার সাথে মতবিনিময় করল, তখন বললঃ নিশ্চয়ই আপনি আমার কাছে আজ থেকে বিশ্বস্ত হিসাবে মর্যাদার স্থান লাভ করেছেন।
[54] And the king said: “Bring him to me that I may attach him to my person.” Then, when he spoke to him, he said: “Verily, this day, you are with us high in rank and fully trusted.”
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৫৫ ।
[55] قالَ اجعَلنى عَلىٰ خَزائِنِ الأَرضِ ۖ إِنّى حَفيظٌ عَليمٌ
[55] ইউসুফ বললঃ আমাকে দেশের ধন-ভান্ডারে নিযুক্ত করুন। আমি বিশ্বস্ত রক্ষক ও অধিক জ্ঞানবান।
[55] [Yûsuf (Joseph)] said: “Set me over the storehouses of the land; I will indeed guard them with full knowledge” (as a minister of finance in Egypt).
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৫৬ ।
[56] وَكَذٰلِكَ مَكَّنّا لِيوسُفَ فِى الأَرضِ يَتَبَوَّأُ مِنها حَيثُ يَشاءُ ۚ نُصيبُ بِرَحمَتِنا مَن نَشاءُ ۖ وَلا نُضيعُ أَجرَ المُحسِنينَ
[56] এমনিভাবে আমি ইউসুফকে সে দেশের বুকে প্রতিষ্ঠা দান করেছি। সে তথায় যেখানে ইচ্ছা স্থান করে নিতে পারত। আমি স্বীয় রহমত যাকে ইচ্ছা পৌছে দেই এবং আমি পূণ্যবানদের প্রতিদান বিনষ্ট করি না।
[56] Thus did We give full authority to Yûsuf (Joseph) in the land, to take possession therein, when or where he likes. We bestow of Our Mercy on whom We will, and We make not to be lost the reward of Al-Muhsinûn (the good doers – see V.2:112)
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৫৭ ।
[57] وَلَأَجرُ الءاخِرَةِ خَيرٌ لِلَّذينَ ءامَنوا وَكانوا يَتَّقونَ
[57] এবং ঐ লোকদের জন্য পরকালে প্রতিদান উত্তম যারা ঈমান এনেছে ও সতর্কতা অবলম্বন করে।
[57] And verily, the reward of the Hereafter is better for those who believe and used to fear Allâh and keep their duty to Him (by abstaining from all kinds of sins and evil deeds and by performing all kinds of righteous good deeds).
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৫৮ ।
[58] وَجاءَ إِخوَةُ يوسُفَ فَدَخَلوا عَلَيهِ فَعَرَفَهُم وَهُم لَهُ مُنكِرونَ
[58] ইউসুফের ভ্রাতারা আগমন করল, অতঃপর তার কাছে উপস্থিত হল। সে তাদেরকে চিনল এবং তারা তাকে চিনল না।
[58] And Yûsuf’s (Joseph) brethren came and they entered unto him, and he recognized them, but they recognized him not.
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৫৯ ।
[59] وَلَمّا جَهَّزَهُم بِجَهازِهِم قالَ ائتونى بِأَخٍ لَكُم مِن أَبيكُم ۚ أَلا تَرَونَ أَنّى أوفِى الكَيلَ وَأَنا۠ خَيرُ المُنزِلينَ
[59] এবং সে যখন তাদেরকে তাদের রসদ প্রস্তুত করে দিল, তখন সে বললঃ তোমাদের বৈমাত্রেয় ভাইকে আমার কাছে নিয়ে এসো। তোমরা কি দেখ না যে, আমি পুরা মাপ দেই এবং মেহমানদেরকে উত্তম সমাদার করি?
[59] And when he had furnished them with provisions (according to their need), he said: “Bring me a brother of yours from your father; (he meant Benjamin). See you not that I give full measure, and that I am the best of the hosts?
[১২] সুরা ইউসুফ : আয়াত ৬০ ।
[60] فَإِن لَم تَأتونى بِهِ فَلا كَيلَ لَكُم عِندى وَلا تَقرَبونِ
[60] অতঃপর যদি তাকে আমার কাছে না আন, তবে আমার কাছে তোমাদের কোন বরাদ্ধ নেই এবং তোমরা আমার কাছে আসতে পারবে না।
[60] “But if you bring him not to me, there shall be no measure (of corn) for you with me, nor shall you come near me.”